আলমডাঙ্গা প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গা ডম্বলপুর গ্রামে তৌহিদুল ইসলাম নামের এক পল্লী চিকিৎসককে গলায় ফাঁস পরিয়ে শ্বাস রুদ্ধকরে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। জানা-গেছে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের ডম্বলপুর গ্রামে মকবুল হোসেনের ছেলে পল্লী চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলাম (৪০) রাত ১২ টার পর আব্দুর রহিমের চায়ের দোকানে চা পান করে বন্ধুদের নিয়ে বসে ছিলো।
এমন সময় অজ্ঞাত ব্যক্তির মোবাইল ফোন থেকে ফোন আসে। ঐ ফোন পেয়ে মটর সাইকেল নিয়ে রুগী দেখার কথা বলে দোকান ত্যাগ করে। এর পর সে আর বাড়িতে ফেরেনি। পরদিন সকালে ডম্বলপুর-মাধবপুর মাঝামাঝি কুমার নদীর ব্রীজের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায়।
স্থানীয় লোকজন দেখতে পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাস উদ্ধার করেছে। ঘটনা স্থলে পৌছে লাশের সুরতহাল রিপোর্টে তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা-গেছে গত ২ মাস পূর্বে ডাইকি ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের ছেলে জীবন এর সাথে নিহত পল্লী চিকিৎসকে মেয়ের পালিয়ে যেয়ে বিবাহ করে ।দুইমাস জেতে না, জেতেই গত দশদিন আগে ঐ মেয়ে বিশ পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এই নিয়ে মত বিরোধ দেখা দেয় জামায়দের সাথে। গত এক সপ্তাহ আগে মেয়েকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে আসার পরে মেয়েকে আর ওই বাড়িতে যেতে দেয়নি।
এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়। আসলে কে বা কাহারা তাকে গলায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে ডম্বলপুর-মাদব পুর গ্রামের সংযোগ ব্রীজের সাথে ঝুলিয়ে রেখেছে সেটা তদন্ত শেষে বেরিয়ে আসবে। কিন্তু এলাকাবাসীর দাবী যেহেতু মাধবপুর গ্রামের অংশে ধস্তাধস্তি হয়েছে এবং তার পরিহিত মাথার টুপি,মোটরসাইকেল, স্যান্ডেল ও ডাক্তারি ব্যাগ ওই স্থানে পড়ে আছে এটা ঐ দ্বন্দ্বের জের ধরেও হতে পারে। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর সার্কেল এসপি আনিসুজ্জামান লালন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেন তদন্ত করে আসল তথ্য পরে জানা যাবে।